রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫১৯ শ্রাবণ, ১৪৩২
logo
ENকনভার্টার
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • বিনোদন
  • সম্পাদকীয়
  • খেলাধুলা
    • বিশ্বকাপ
    • ক্রিকেট
    • ফুটবল
    • অন্যান্য খেলাধুলা
  • বাংলাদেশ
  • বিবিধ খবর
  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • অন্যান্য
    • আইন-আদালত
    • সাহিত্য
    • প্রবাস জীবন
    • কৃষি
    • বাংলাদেশে করোনা
    • গনমাধ্যম
    • আবহাওয়া
    • জাতীয় সংসদ নির্বাচন
    • ভাইরাল টপিক
    • অর্থনীতি
    • ব্যবসা ও বাণিজ্য
    • বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
    • অপরাধ
    • স্বাস্থ্য
    • ধর্ম
    • বন্যা পরিস্থিতি
    • জনদুর্ভোগ
    • প্রতিবেশী
    • পর্যটন
    • মজার খবর
    • শিক্ষা
    • শেয়ার বাজার
    • চাকুরী
    • লাইফস্টাইল
অনুসন্ধান
logo
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • বিনোদন
  • সম্পাদকীয়
  • খেলাধুলা
  • বাংলাদেশ
  • বিবিধ খবর
  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • অন্যান্য
logo
  • হোম
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • বিনোদন
  • সম্পাদকীয়
  • খেলাধুলা
  • বাংলাদেশ
  • বিবিধ খবর
  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • অন্যান্য
  • অনুসন্ধান করুন
  • সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা
Logo

সম্পাদক : মোঃ শওকত হায়দার (জিকো)

প্রকাশক : ইনিউজ৭১ মিডিয়া লিমিটেড

হাউজ: নাম্বার ৫৫ , দ্বিতীয় তলা, রোড নাম্বার ৬/এ , সেক্টর - ১২ উত্তরা, ঢাকা - ১২৩০ ।

ফোন: +880 258 053 897, ইমেইল: [email protected] , [email protected]

গোপনীয়তার নীতি

ব্যবহারের শর্তাবলি

যোগাযোগ

আমাদের সম্পর্কে

আমরা

সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা

স্বত্ব © ইনিউজ৭১.কম

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

ধর্ম

ইসলাম ধর্মের স্তম্ভসমূহ

Ziaul Hoque
জিয়াউল হক, নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৬:৫

শেয়ার করুনঃ
ইসলাম ধর্মের স্তম্ভসমূহ
ইসলাম
https://enews71.com/storage/ads/01JR36BQSKCPE69WB8Z3TARXE3.jpg

সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা

https://enews71.com/storage/ads/01JR3CX28Y9BM01PRE4TXCNDWF.jpg

ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলাম মানুষকে বিপদ ও অশান্তি থেকে মুক্তির পথ প্রদর্শন করে। মানুষের জীবনে ইসলাম ধর্মের ভিত্তিগুলোর প্রতিফলন ঘটলে জীবন সুশৃঙ্খল ও নিয়মতান্ত্রিক ভাবে পরিচালিত হয়। 

ইসলাম ধর্মের কিছু মূল বিষয় রয়েছে যেগুলো এর ভিত্তি বা স্তম্ভ নামে পরিচিত। একজন মুসলমানের জীবনে এগুলোর প্রভাব ও গুরুত্ব অপরিসীম। ইসলাম ধর্মের স্তম্ভ বা ভিত্তি মূলত পাঁচটি। যথা - 

আরও

জীবনে বরকতের চাবিকাঠি — সকালে রিজিকের জন্য দোয়া

জীবনে বরকতের চাবিকাঠি — সকালে রিজিকের জন্য দোয়া

(১) কালেমা, 

(২) নামাজ,

আরও

জীবনে বরকতের চাবিকাঠি — সকালে রিজিকের জন্য দোয়া

জীবনে বরকতের চাবিকাঠি — সকালে রিজিকের জন্য দোয়া

(৩) রোজা,

(৪) হজ্জ্ব, ও

(৫) যাকাত।

হাদিস ও গুরুত্বের ভিত্তিতে বিভিন্ন জায়গায় ইসলামের এই স্তম্ভগুলোর ক্রম পরিবর্তিত হয়। নিচে স্তম্ভগুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হলো : 

কালেমা:

ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের প্রথম ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হচ্ছে কালেমা। একজন মুসলমান হওয়ার পূর্ব শর্ত হচ্ছে কালেমা ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নাই এবং মুহাম্মাদ (সা.) তার রাসূল’ মুখে বলা ও অন্তরে বিশ্বাস করা। ইসলামের চার কালেমায় বিশ্বাস স্থাপন করে ঈমান আনা কালেমার মূল উদ্দেশ্যে। মহান আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীতে যতো নবী রাসূলগণ প্রেরণ করেছেন, তাদের সকলের দাওয়াতের মূল বিষয় ছিলো তাওহীদ। আর এই তাওহীদের ওপর বিশ্বাস প্রতিস্থাপনের নামই হলো ঈমান।

একজন মুসলমানের কাছে সবচেয়ে বড় সম্পদ তার ঈমান। যা তার প্রাণের চেয়েও প্রিয়। ঈমানদার মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে পারে, কিন্তু কোনোভাবেই ঈমানকে ছাড়তে পারে না। ঈমান শুধু মুখে কালেমা পড়ার নাম নয়, ইসলামকে তার সকল অপরিহার্য অনুষঙ্গসহ মনেপ্রাণে মানা ও বিশ্বাস করা। ঈমান হলো অটল ও দৃঢ় বিশ্বাসের নাম।

 

কোনো বিষয়কে শুধু মহান আল্লাহ ও তার রাসূলের প্রতি আস্থার ভিত্তিতে মেনে নেয়ার নাম ঈমান। পবিত্র কোরআন মাজীদে মহান আল্লাহ তায়ালা সাক্ষ্য দেন যে, নিশ্চয়ই তিনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, ফেরেশতাগণ এবং জ্ঞানীগণও; আল্লাহ ন্যায়নীতিতে প্রতিষ্ঠিত, তিনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। আর এটাই কালেমার মূল বিষয়। 

নামাজ:

نَماز বা সালাত হলো ইসলাম ধর্মের অন্যতম ইবাদত। নামাজ ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের একটি। কালেমার পরেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নামাজ। পবিত্র কোরআন মাজীদে মহান আল্লাহ তায়ালা বিভিন্ন জায়গায় সরাসরি ৮২ বার সালাত শব্দ উল্লেখ করে নামাজের গুরুত্ব বর্ণনা করেছেন। মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআন মাজীদে বলেছেন, ‘আমিই আল্লাহ আমি ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। অতএব আমার ইবাদত কর এবং আমার স্মরণার্থে নামাজ কায়েম কর।’’ (সূরা ত্বোয়া-হা: ১৫)

অন্যত্র বর্ণিত হয়েছে যে, ‘এই কিতাব হতে যা তোমার প্রতি ওহী করা হয় তা তুমি আবৃতি কর এবং নামাজ কায়েম কর। নিশ্চয় নামাজ অশ্লীল ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে। আল্লাহর স্মরণ সর্বশ্রেষ্ঠ। আল্লাহ জানেন তোমরা যা কর।’ (সূরা আনকাবুত: ৪৬)

রাসূলুল্লাহ (সা.) মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে বার বার নামাজের তাগিদ পেয়েছেন। প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য ফরজ।

 

তাই প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামাজকে কালেমার পরেই স্থান দিয়েছেন। মহানবী (সা.) নামাজের গুরুত্ব ও ফায়দা সম্পর্কে সাহাবায়ে কেরামের সামনে অসংখ্য হাদিস বর্ণনা করেছেন। তন্মধ্যে একটি হলো-

আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, ‘আমি রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করলাম, হে আল্লাহর রাসূল! (সা.) আল্লাহর কাছে সবচেয়ে বেশি প্রিয় আমল কোনটি? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘নামাজ’।’ (সহীহ বুখারি ও সহীহ মুসলিম)

মুসলমানদের ওপর দৈনিক পাঁচবার নামাজ পড়া ফরজ। নামাজের এই বিধান কার্যকর হয় মেরাজের রাত্রে। ইসলামের একমাত্র বিধান হলো নামাজ যা মেরাজের রাত্রিতে মহান আল্লাহ কার্যকর করেন। ঈমান আর কুফরের মধ্যে মূল পার্থক্য হলো নামাজ।

প্রিয় নবী (সা.) নামাজের গুরুত্ব বর্ণনা করতে গিয়ে হাদিসের মাধ্যমে একটি উপমা প্রদান করেছেন। হজরত আবু যর গিফারি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন যে, ‘নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক সময় শীতকালে বাইরে তাশরিফ আনলেন। তখন গাছের পাতা ঝরার সময় ছিল। নবী (সা.) গাছের একটি ডালে হাত দিয়ে ধরলেন। ফলে তার পাতা আরো বেশি ঝরতে লাগল।

অত:পর তিনি বললেন, হে আবু যর! আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি উপস্থিত। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করলেন-

মুসলমান বান্দা যখন আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নামাজ আদায় করে, তখন তার থেকে পাপসমূহ ঝরে পড়ে; যেমন এ গাছের পাতা ঝরে পড়ছে। (মুসনাদে আহমদ)

পরিশেষে…নামাজের প্রতি যত্নবান হওয়া মুমিন মুসলমানের ঈমানের দাবি ও ফরজ ইবাদত। নামাজি ব্যক্তিই হলো সফল। যার সুস্পষ্ট বর্ণনা দিয়েছেন প্রিয়নবী। তিনি বলেছেন-

‘যে ব্যক্তি নামাজের প্রতি যত্নবান থাকে; কেয়ামতের দিন ওই নামাজ তার জন্য নূর হবে এবং হিসেবের সময় তার জন্য দলিল হবে এবং তার জন্য নাজাতের কারণ হবে।

পক্ষান্তরে, যে ব্যক্তি নামাজের প্রতি যত্নবান হবে না তার জন্য নাজাতের কোনো সনদও থাকবে না। বরং ফেরাউন, হামান ও উবাই ইবনে খালফের সঙ্গে তার হাশর হবে।’

https://enews71.com/storage/ads/01JQ184AJV9F0T856X9BBSG85X.gif

রোজা:

روزہ বা রোজা ফারসি শব্দ এবং সাউম صوم ‌ বা সিয়াম আরবি শব্দ। ইসলাম ধর্মের পাঁচটি মূল স্তম্ভের তৃতীয় স্তম্ভ হচ্ছে রোজা। সূর্যোদ্বয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার খাবার ও পানীয় এবং যাবতীয় ভোগ-বিলাস থেকেও বিরত থাকার নাম রোজা। ইসলামের বিধান অনুযায়ী, প্রতিটি সুস্থ মুসলমানের জন্য রমজান মাসের প্রতি দিন রোজা রাখা ফরজ فرض যার অর্থ অবশ্যই পালনীয়। রোজা কেবল উম্মাতে মোহাম্মাদীর ওপরই ফরজ না, এর আগের উম্মতদের ওপরও তা ফরজ ছিলো।

 

মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমাদের ওপর সিয়াম ফরজ করা হয়েছে , যেভাবে ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর। যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বন কর।’ (সূরা বাকারা ২, আয়াত-১৮৪)

অন্য আয়াতে মহান আল্লাহ পাক বলেন, ‘রমজান মাসই হলো সে মাস, যাতে নাজিল করা হয়েছে কোরআন, যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্যপথ যাত্রীদের জন্য সুষ্পষ্ট পথ নির্দেশনা আর ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী। কাজেই তোমাদের মধ্যে যে লোক এ মাসটি পাবে, সে এ মাসের রোজা রাখবে;’ (সূরা বাকারা: ১৮৬) (সূরা বাকারা, আয়াত-১৮৬)

রমজান মাসে সাওম পালন করা ফরজে আইন। যদি কোনো মুসলমান রমজান মাসে ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা পরিত্যাগ করে, তাহলে সে বড় গুনাহগার ও দ্বীনের মৌলিক বিধান লঙ্ঘনকারী এবং ঈমান-ইসলামের খেয়ানতকারী হিসেবে পরিগণিত হবে। ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা ভঙ্গকারীদের জন্য হাদিস শরিফে কঠিন শাস্তির কথা বলা হয়েছে ।

 

আবু উমামা (রা.) বলেন, ‘আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.) বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, ‘আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। স্বপ্নে দেখলাম আমার কাছে দুইজন ব্যক্তি আসলেন। তারা আমার বাহু ধরে আমাকে দূর্গম এক পাহাড়ে নিয়ে এলেন। এরপর আমাকে বললেন, আপনি পাহাড়ের ওপরে উঠুন। আমি বললাম, আমি উঠতে পারবো না। তারা বললো, আমরা আপনাকে সাহায্য করবো। আমি ওপরে উঠলাম। যখন আমি পাহাড়ের সমতল ভূমিতে পৌঁছালাম, হঠাৎ ভয়ংকর আওয়াজ শুনতে পেলাম। আমি তাদের জিজ্ঞেস করলাম, এটা কিসের আওয়াজ? তারা বললেন, এটা জাহান্নামীদের আর্তনাদ। তারা আমাকে নিয়ে এগিয়ে চলল। হঠাৎ কিছুলোক দেখতে পেলাম, তাদেরকে পেশী দ্বারা ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে এবং তাদের মুখের দুই প্রান্ত ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। তা থেকে তাদের রক্ত ঝরছে। আমি বললাম, এরা কারা? তারা বলল, যারা ইফতারের পূর্বেই রোজা ভেঙ্গে ফেলতো তারা এরা। 

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণনা এসেছে যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘মানুষের প্রতিটি আমলের প্রতিদান বৃদ্ধি করা হয়। একটি নেকির সওয়াব দশগুণ থেকে সাতশ’ গুণ পর্যন্ত হতে পারে।’ 

মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘কিন্তু রোজার বিষয়টা আলাদা। কেননা তা আমার জন্য এবং আমি নিজেই এর বিনিময় প্রদান করবো। বান্দা একমাত্র আমার জন্য নিজের প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ করেছে এবং পানাহার পরিত্যাগ করেছে।’

হজ:

حج‎ আরবি শব্দ। হজ শব্দের আভিধানিক অর্থ ‘ইচ্ছা’ বা ‘সংকল্প’ করা। হজ ইসলাম ধর্মের পঞ্চস্তম্ভের চতুর্থ স্তম্ভ। ইসলাম ধর্মাবলম্বী অর্থাৎ মুসলমানদের জন্য হজ একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। শারীরিক ও আর্থিক দিক থেকে সক্ষম হলেই প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য জীবনে একবার হজ সম্পাদন করা ফরজ বা আবশ্যিক। আরবি জিলহজ মাসের ৮ থেকে ১২ তারিখ হজর জন্য নির্ধারিত সময়। হজ পালনের জন্য বর্তমান সৌদী আরবের মক্কা নগরীর কাবাঘর, সন্নিহিত মিনা, আরাফাত প্রভৃতি স্থানে গমন এবং অবস্থান আবশ্যক। এটি মুসলমানদের পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বাৎসরিক তীর্থযাত্রা।

মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআন মাজীদে বলেন, ‘এবং সামর্থ্যবান মানুষের ওপর আল্লাহর জন্য বায়তুল্লাহর হজ করা ফরজ। আর যে ব্যক্তি কুফরী করে, তবে আল্লাহ তো নিশ্চয় সৃষ্টিকূল থেকে অমুখাপেক্ষী।’ (সূরা- আলে ইমরান, আয়াত-৯৭)

 

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহ তায়ালা তোমাদের ওপর হজ ফরজ করেছেন। সুতরাং তোমরা হজ আদায় করো।’ 

তাই প্রত্যেক মুসলিমের উচিত হজ ফরজ হওয়ার শর্তগুলো পূর্ণ হলেই অনতিবিলম্বে হজ আদায় করা। কেননা প্রত্যেকটি ফরজ আমল অনতিবিলম্বে আদায় করা বাধ্যতামূলক।

 

আবু হোরায়রা (রা.) এক হাদিসে বর্ণনা করেছেন যে, হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য হজ করে এবং অশ্লীল ও গুনাহের কাজ থেকে বেঁচে থাকে, সে হজ থেকে এমন অবস্থায় ফিরে আসে যেন মাত্র মায়ের গর্ভ থেকে বের হয়েছে। অর্থাৎ সদ্য জন্ম নেয়া শিশুর মত নিষ্পাপ।’

জাকাত: 

زكاة ‎আরবি শব্দ। যার অর্থ হচ্ছে ‘পরিশুদ্ধ করে’ আরো আরবি زكاة ألمال‎, ‘সম্পদের জাকাত’। জাকাত ইসলাম ধর্মের পঞ্চস্তম্ভের গুরুত্বপূর্ণ একটি স্তম্ভ। ইসলাম কেবল একটি ধর্ম নয়, এটি একটি জীবনব্যবস্থা। এতে রয়েছে সমাজনীতি,পররাষ্ট্রনীতি, যুদ্ধনীতি, অর্থনীতি। জাকাত হলো ইসলামী অর্থনীতির একটি বুনিয়াদ।

 

প্রত্যেক স্বাধীন, পূর্ণবয়স্ক মুসলমান নর-নারীকে প্রতি বছর স্বীয় আয় ও সম্পত্তির একটি নির্দিষ্ট অংশ জাকাত দিতে হয়। ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের মধ্যে হজ এবং জাকাতই শুধুমাত্র শর্তসাপেক্ষ যে, তা সম্পদশালীদের জন্য ফরজ বা আবশ্যিক হয়। পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআনে ‘জাকাত’ শব্দের উল্লেখ এসেছে ৩২ বার। পবিত্র কোরআনে নামাজের পরেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পূর্ন বিষয় হিসাবে উল্লেখ্য এই জাকাত।

 

জাকাত শব্দের অর্থ পরিচ্ছন্নতা। নিজের আয় থেকে একটি নির্দিষ্ট অংশ গরীব দু:খী মানুষকে দান করে নিজের আত্মার পরিশুদ্ধিই হলো জাকাত। শরীয়তের ভাষ্যমতে, বাৎসরিক আয়ের ২.৫% অংশ মহান আল্লাহের পথে দান করার নামই জাকাত। এতে সম্পদ হালাল এবং আত্মার পরিশুদ্ধি হয়।

রাসূল (সা.) এর মতে, ‘যে ব্যক্তি জাকাত দিল তার থেকে যেন শয়তান নির্মূল হয়ে গেল।’

এক বছর যাবত নির্দিষ্ট পরিমাণ(নিসাব পরিমাণ) সম্পদের মালিক থাকলে তাকে মোট অর্থের শতকরা ২.৫% হারে জাকাত পরিশোধ করতে হবে।

 

আর জাকাত পাওয়ার জন্য যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে শরিয়তে বিশেষ বিধান রয়েছে। শরীয়ত মোতাবেক যারা জাকাত পাবার যোগ্য, তারা হলেন–

ফকির (যার নিসাব পরিমাণ সম্পদ নেই), মিসকিন বা নি:স্ব ব্যক্তি (যার কাছে একবেলা খাবারও নেই), ঋণগ্রস্ত মুসলিম, অসহায় মুসাফির, জাকাত উত্তোলন, সংরক্ষণ ও বন্টনের কার্যে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ, ইসলাম গ্রহণ করতে ইচ্ছুক অমুসলিম, নতুন মুসলিম যার ঈমান এখনো পরিপক্ক হয়নি, ক্রীতদাস/বন্দী মুক্তি।

তবে লক্ষ্য রাখতে হবে, ফকির বা মিসকিন যেন মুসলমান হয় এবং প্রয়োজনের অতিরিক্ত নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক না হয়। 

জাকাত বান্দাকে স্রষ্টার নিকটে আসতে সহায়তা করে। সমাজে একে অপরের প্রতি সহানুভূতি বৃদ্ধি ও ভ্রাতৃত্ববোধ গঠনে অনন্যসাধারণ ভূমিকা পালন করে জাকাত।

 

পরিশেষে বলা যায়, আলোচ্য বিষয় গুলোর চর্চা ও এগুলোর ওপর আমল করায় ইসলামের মূল দিকনির্দেশনা। একজন মুসলমানের জীবনে এই বিষয়গুলোর প্রতিফলন ঘটলে তবেই তার জীবন পরিপূর্ণ আদর্শে সার্থকতা লাভ করবে ।

সর্বশেষ সংবাদ

সংবিধান সংশোধনের পথ সংসদেই, বললেন আমীর খসরু

সংবিধান সংশোধনের পথ সংসদেই, বললেন আমীর খসরু

অজগরের পেটে নিখোঁজ ছাগল, গ্রামবাসীর আঘাতে সাপের মৃত্যু

অজগরের পেটে নিখোঁজ ছাগল, গ্রামবাসীর আঘাতে সাপের মৃত্যু

আন্তর্বর্তীকালেই সংস্কার বাস্তবায়নের দাবি এনসিপির

আন্তর্বর্তীকালেই সংস্কার বাস্তবায়নের দাবি এনসিপির

৫ আগস্ট উপস্থাপিত হবে জুলাই ঘোষণাপত্র: চূড়ান্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন

৫ আগস্ট উপস্থাপিত হবে জুলাই ঘোষণাপত্র: চূড়ান্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন

যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ অবস্থানের অভিযোগে ফেরত এসেছে ৩৯ বাংলাদেশি

যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ অবস্থানের অভিযোগে ফেরত এসেছে ৩৯ বাংলাদেশি

জনপ্রিয় সংবাদ

শ্রীমঙ্গলে এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, বাতিল হলো পথসভা

শ্রীমঙ্গলে এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, বাতিল হলো পথসভা

সেনাবাহিনীর চিকিৎসা ক্যাম্পে হাসি ফুটল অসহায় মুখে

সেনাবাহিনীর চিকিৎসা ক্যাম্পে হাসি ফুটল অসহায় মুখে

ভূরুঙ্গামারীতে শিক্ষার্থীদের ওপর কিশোর গ্যাংয়ের বেপরোয়া হামলা

ভূরুঙ্গামারীতে শিক্ষার্থীদের ওপর কিশোর গ্যাংয়ের বেপরোয়া হামলা

জুলাই শহীদদের স্মরণে গ্রিন অ্যালামনাইয়ের সভা

জুলাই শহীদদের স্মরণে গ্রিন অ্যালামনাইয়ের সভা

রাজবাড়ীতে ছাত্র আন্দোলন মামলায় আ.লীগ নেতা গ্রেফতার

রাজবাড়ীতে ছাত্র আন্দোলন মামলায় আ.লীগ নেতা গ্রেফতার

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

শয়তানকে পরাজিত করার রাসুল (সা.)-এর ৩ উপায়

শয়তানকে পরাজিত করার রাসুল (সা.)-এর ৩ উপায়

পৃথিবীতে মানুষের সবচেয়ে বড় শত্রু হচ্ছে শয়তান। সে জন্ম থেকেই আমাদের ধোঁকায় ফেলতে, গুনাহে ডুবিয়ে দিতে এবং আল্লাহর পথ থেকে ফিরিয়ে দিতে সদা সক্রিয়। কিন্তু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের শিখিয়েছেন—কিভাবে এই চিরশত্রুকে হারিয়ে দেওয়া যায়। হাদীসের আলোকে তিনটি কার্যকর উপায় এখানে তুলে ধরা হলো। প্রথমত, শয়তানকে পরাজিত করতে হলে অবশ্যই আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা  করতে হবে। একবার রাসুল (সা.) বললেন,

পবিত্র জুমার দিনের বরকত: জীবনের প্রতিটি দিকেই হেদায়াতের আলো

পবিত্র জুমার দিনের বরকত: জীবনের প্রতিটি দিকেই হেদায়াতের আলো

জুমার দিন সপ্তাহের সেরা ও সর্বশ্রেষ্ঠ দিন। রাসুল (সা.) এই দিনকে ঈদের দিনের মতো মর্যাদা দিয়েছেন। কোরআন ও হাদিসে জুমার দিনের বহু ফজিলত ও গুরুত্ব বর্ণিত হয়েছে, যা আমাদের দৈনন্দিন জীবন ও আখিরাতের জন্য এক বিরাট হেদায়াতের উৎস। এই দিনটি মুসলমানদের জন্য শুধু নামাজের নয়, বরং আত্মশুদ্ধি, দোয়া কবুলের এবং আল্লাহর করুণা পাওয়ার শ্রেষ্ঠ সুযোগ। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, জুমার দিন এমন

শান্তির জন্য প্রয়োজন কুরআনের পথে ফেরা

শান্তির জন্য প্রয়োজন কুরআনের পথে ফেরা

মানুষ যত আধুনিক হচ্ছে, ততই অশান্তি তাকে ঘিরে ধরছে। প্রযুক্তির উৎকর্ষতা, জীবনের বিলাসিতা, সমাজে চাকচিক্য—সবই বেড়েছে। কিন্তু আত্মিক প্রশান্তি যেন মানুষের জীবন থেকে হারিয়ে গেছে। এই অবস্থায় ইসলামের মৌলিক শিক্ষাগুলোতে ফিরে যাওয়াই একমাত্র পরিত্রাণের পথ। কুরআনের ভাষায়, ‘নিঃসন্দেহে আল্লাহর স্মরণেই অন্তরসমূহ প্রশান্ত হয়’ (সূরা রা’দ, আয়াত ২৮)। আমরা যদি চারপাশে তাকাই, দেখতে পাব সমাজে অন্যায়, অবিচার, লোভ, হিংসা, প্রতারণা—এসব বেড়েই চলেছে।

জীবনে বরকতের চাবিকাঠি — সকালে রিজিকের জন্য দোয়া

জীবনে বরকতের চাবিকাঠি — সকালে রিজিকের জন্য দোয়া

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের জীবনের প্রতিটি দিকেই পথনির্দেশনা দিয়েছেন। দুনিয়ার সফলতা এবং আখিরাতের মুক্তির জন্য তিনি এমন কিছু আমল শিখিয়েছেন, যা অল্প পরিশ্রমে অনেক ফজিলতের দ্বার খুলে দেয়। এর মধ্যে একটি হলো—রিজিক বৃদ্ধির জন্য সকালে নির্দিষ্ট কিছু দোয়া ও আমল। নবী করিম (সা.) সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই আল্লাহর কাছে রিজিকের জন্য দোয়া করতেন এবং সাহাবাদেরও তা শিক্ষা দিতেন।

হাদিসের আলোয় দুনিয়ার প্রশান্তির চাবিকাঠি

হাদিসের আলোয় দুনিয়ার প্রশান্তির চাবিকাঠি

ইসলামে মানুষের দুনিয়াবি জীবনও অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচিত। প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) আমাদের এমন অনেক হাদিস দিয়ে গেছেন যেগুলো শুধু আখিরাতের জন্য নয়, দুনিয়ার জীবনের জন্যও হেদায়েত ও প্রশান্তির পথ দেখায়। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উত্তম, যে তার পরিবার-পরিজনের কাছে উত্তম আচরণ করে।’ (তিরমিজি)। এই হাদিস আমাদের পারিবারিক জীবনে সদাচরণ, সহনশীলতা ও ভালোবাসার ভিত্তি তৈরি করে, যা