বাগেরহাটের শরণখোলায় বলেশ্বর নদের নাব্যতা রক্ষায় অবশেষে ড্রেজিং শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরিণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সাঙ্গু নামের একটি ড্রেজার দিয়ে ডুবোচর কাটা শুরু করেছে। ২৮০০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ১২০ ফুট প্রস্থের এই চর কাটতে ২০ থেকে ২৫ দিন সময় লাগতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
বলেশ্বরের নাব্যতা রক্ষা এবং মানুষের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য বাগেরহাট-৪ (শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন গত ১৪ নবেম্বর নৌ পরিবহন মন্ত্রী বরাবরে একটি পত্র প্রেরণ করেন। ওই পত্রের প্ররিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় থেকে ড্রেজিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জানা যায়, বলেশ্বর নদের পূর্ব পারে মঠবাড়িয়া এবং পশ্চিম পারে শরণখোলা উপজেলার অবস্থান। এই উপজেলা দুটিকে বিভক্ত করে রেখেছে প্রায় আড়াই কিলোমিটার প্রস্থের বলেশ্বর নদটি। ১৫-১৬ বছর আগে থেকে এই নদের মাঝ বারাবর ধীরে ধীরে চর পড়তে শুরু করে। বর্তমানে ভাটির সময় বলেশ্বরের বুক চিরে জেগে ওঠে বিশাল বালুচর। আর জোয়ারের সময় তলিয়ে যায়। এতে বড় নৌযান চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন সৃষ্টি হয়।
এ ছাড়া গত বছররের ১০ নভেম্বর শরণখোলার রায়েন্দা থেকে মঠবাড়িয়ার বড় মাছুয়ায় শুরু হয় ফেরি চলাচল। এই চরের কারণে আড়াই কিলোমিটার নদ পার হতে সময় লাগে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা। চরের বাইরে থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার ঘুরে তবেই ঘাটে পৌছায় ফেরি। এতে অতিরিক্ত সময়ের কারণে মানুষের ভোগান্তির পাশাপাশি ফেরির জ্বালানি খরচও বেশি হয়। ড্রেজিং সম্পন্ন হলে দুই ঘণ্টার পথ যেতে সময় লাগবে মাত্র ৩০ মিনিট। ফলে, যাত্রীদের সময় এবং ফেরির জ্বালানি দুটোই সাশ্রয় হবে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরিণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের উপ সহকারী প্রকৌশলী মো. কামাল হোসেন জানান, বলেশ্বর নদের মাঝে ২৮০০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১২০ ফুট প্রস্থ জেগে ওঠা চর কেটে নদের নাব্যতা ফিরিয়ে আনা হবে। এতে তাদের প্রায় ২০-২৫ দিন সময় লাগতে পারে। তবে স্রোতের কারণে কাজে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।
ফেরির সুপার ভাইজার মিন্টু অধিকারী জানান, চর ড্রেজিং করা হলে দুই ঘণ্টার পথ পার হতে সময় লাগবে মাত্র আধা ঘণ্টা। তাতে সময় এবং জ্বালানি খরচ অনেক কমে আসবে।
বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন বলেন, বলেশ্বর নদে ফেরি চালু হওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলের চার জেলার মানুষ উপকৃত হচ্ছে। ড্রেজিং করা হলে ফেরি চলাচল আরো সহজ এবং মানুষের দুর্ভোগ কমবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।