প্রকাশ: ১১ আগস্ট ২০২৫, ১০:৫৯
দীর্ঘ ১৮ বছরের আইনি লড়াইয়ের পর খালাস পেলেন খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূঁইয়া। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুর্নীতি দমন কমিশন দায়ের করা মামলায় তাকে খালাস দিয়ে গতকাল রবিবার হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ রায় ঘোষণা করে।
বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ওয়াদুদ ভূঁইয়ার আপিল মঞ্জুর করে তাকে সকল অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন। আদালতে তার পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী, এসএম শাহজাহান, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও মাকসুদ উল্লাহ।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালের ৩ মার্চ দুদক তার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা দায়ের করে। একই বছরের ৬ জুন মামলায় চার্জশিট দাখিল হয় এবং ২২ জুলাই আদালত রায়ে তিন ধারায় মোট ২০ বছরের সাজার আদেশ দেন। এর মধ্যে একটি ধারায় ৩ বছর, আরেকটিতে ১০ বছর এবং অন্যটিতে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে ওয়াদুদ ভূঁইয়া আপিল করলে দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে অবশেষে হাইকোর্ট তাকে খালাস দেয়। এই রায়ের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে ১৮ বছরের পুরনো মামলার অবসান ঘটে।
রায়ের পর প্রতিক্রিয়ায় ওয়াদুদ ভূঁইয়া বলেন, এই রায়ের মাধ্যমে ১/১১-এর সময়কার অবিচার ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে তিনি ন্যায়বিচার পেলেন। তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের সঙ্গে সঙ্গে জেনারেল মঈন উদ্দিন, জেনারেল মাসুদ উদ্দিন ও ফখরু উদ্দিন সরকারের সময়ে করা অন্যায়ের বিরুদ্ধে এটি একটি বড় বিজয়।
তিনি মহামান্য হাইকোর্ট ও তার আইনি লড়াইয়ে সহযোগিতা করা আইনজীবী দলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। বিশেষ করে ব্যারিস্টার কায়সার কামালের পেশাদার ভূমিকার প্রশংসা করেন।
স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে এই রায় নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা একে রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিজয় হিসেবে দেখছেন এবং মনে করছেন এটি আগামী রাজনীতিতেও প্রভাব ফেলবে।
আইনি লড়াইয়ের দীর্ঘ সময়ে ওয়াদুদ ভূঁইয়া রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় থাকলেও মামলার কারণে নানা সীমাবদ্ধতায় ভুগছিলেন। খালাস পাওয়ার পর তিনি পুনরায় পূর্ণোদ্যমে রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।