সিলেটের যুব মহিলা লীগের দুই নেত্রী লাকী আক্তার ও নাজমা আক্তার নাজুর বিরুদ্ধে উঠছে ভয়াবহ অভিযোগ। গত ১৬ বছরে সিলেটে তাদের প্রতারণার শিকার হয়েছেন বহু ব্যক্তি, যাদের মধ্যে সাংবাদিক, পুলিশ, রাজনীতিবিদ ও তরুণ যুবকরা রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই দুই নেত্রীর বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেইলিং ও প্রতারণার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
লাকী আহমেদ, যিনি সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে পরিচিত, একাধিক ব্যক্তিকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। ভুক্তভোগীরা জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার পর অনৈতিক ছবি ও ভিডিও ধারণ করে তাদেরকে ভয় দেখানো হচ্ছে। এই চক্রের সদস্যরা তাদের সম্মানহানির ভয়ে পুলিশে যেতে সাহস পান না, ফলে অনেকেই নীরব থাকছেন।
অন্যদিকে, নাজমা আক্তার নাজু নিজেকে বিভিন্ন পরিচয়ে পরিচিত করেছেন। কখনো তিনি সাংবাদিক, কখনো ব্যবসায়ী আবার কখনো মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী। সম্প্রতি তিনি ছাত্র আন্দোলনের উপর হামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ থাকলেও তিনি বার বার নতুন পরিচয়ে সামনে আসছেন।
স্থানীয়রা দাবি করেছেন, এই দুই নেত্রীর কার্যক্রমকে সহযোগিতা করছেন কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি। সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীসহ একাধিক ব্যক্তি তাদের কর্মকাণ্ডে সমর্থন দিয়ে আসছেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের পরেও কোনও প্রতিকার হয়নি।
ভুক্তভোগীরা জানান, তারা অনেকেই নাম পরিচয় প্রকাশ করতে চান না, কারণ ভয় তাদের চারপাশে। লাকী ও নাজু এখন পর্যন্ত তাঁদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন, এবং স্থানীয় প্রশাসন এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় ভুক্তভোগীদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে।
সিলেটের সাধারণ মানুষ এ ধরনের অপকর্মের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য একত্রিত হতে শুরু করেছেন। তারা আশা করছেন, প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং এই প্রতারকদের হাত থেকে রেহাই পাবে। সুতরাং, সিলেটের সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবেশ রক্ষায় কর্তৃপক্ষের কার্যকর পদক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।