প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮:৩৬
ফরিদপুর-৪ আসন থেকে আলগী ও হামিরদী ইউনিয়ন বাদ দিয়ে ফরিদপুর-২ আসনের সঙ্গে যুক্ত করার গেজেট কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে দুই মনোনয়ন প্রত্যাশীর দাখিল করা রিট আবেদনের ভিত্তিতে আদালত এই নির্দেশ দেন।
বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ মঙ্গলবার এ রুল জারি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে আইনজীবী হুমায়ন কবির পল্লব উপস্থিত ছিলেন। তিনি জানান, আদালত সংশ্লিষ্টদের আগামী ১০ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলেছে।
রিটে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ফরিদপুর-৪ আসনের আওতায় থাকা আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে সরিয়ে ফরিদপুর-২ আসনের সঙ্গে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত সংবিধান ও নির্বাচনী আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এ কারণে গেজেট বাতিলের দাবি জানানো হয়।
এর আগে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাহবুবুর রহমান দুলালের পক্ষে নির্বাচন কমিশনকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। ওই নোটিশে গেজেট বাতিলের দাবি জানানো হয়েছিল।
রিটে আরও বলা হয়, সংবিধানের ১২৫(ক) অনুচ্ছেদ কেন সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না এবং নির্বাচনী আইনের সেকশন ৭ কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না তা নিয়ে আদালতের সিদ্ধান্ত প্রয়োজন।
গত ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের পুনঃনির্ধারিত সীমানার চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে গেজেট জারি করে। এতে ফরিদপুর-৪ আসন (ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন) থেকে আলগী ও হামিরদী ইউনিয়ন বাদ দিয়ে ফরিদপুর-২ আসনের (নগরকান্দা ও সালথা) সঙ্গে যুক্ত করা হয়।
এই আসন পুনর্বিন্যাসের পর এলাকায় ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দেয়। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিনের ভোটের ইতিহাস ও প্রশাসনিক কাঠামো উপেক্ষা করে রাজনৈতিক স্বার্থে এই সীমানা পরিবর্তন করা হয়েছে।
আইনজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের সীমানা পুনর্বিন্যাস নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই আদালতের এই রুল রাজনৈতিক ও প্রশাসনিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।